বাংলাদেশের স্বনামধন্য বেহালা বাদক। ছোটবেলায় উনার পিতা উপমহাদেশের প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ আব্দুর রহমান এর নিকট বেহালা বাদন এবং উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম নেন। উনার পিতা গৌহাটি আকাশবাণী তে বাঁশি শিল্পী হিসেবে চাকুরী করতেন। তাছাড়াও উনার দাদা ভারতের আসাম রাজ্যে গৌহাটিতে আকাশবাণী গৌহাটি কেন্দ্রে, পরবর্তীকালে সিলেট বেতার এবং চট্টগ্রাম বেতারের বিশিষ্ট বেহালা বাদক ওস্তাদ আকরাম আলী মিয়ার নিকট তালিম নেন। পরবর্তী সময়ে জনাব নুরুল আলম, জনাব দেবু ভট্টাচার্য, জনাব আলাউদ্দিন আলী, জনাব ওমর ফারুক, জনাব স্বপন কুমার সাহা,বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব জনাব আজাদ রহমান প্রমুখ এর নিকট বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মোঃ নুরুজ্জামান ১৯৭০ সাল থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এবং ঢাকা অর্কেস্ট্রার সদস্য হিসেবে ছায়াছবির গানে এবং আবহ সঙ্গীতে বেহালা বাদক হিসেবে নিয়মিত কাজ করছেন। একই বছরে প্রথম জনাব মনসুর আলীর সঙ্গীত পরিচালনায় উর্দু ছায়াছবি " উজালা" তে পেশাদার বেহালা বাদক হিসেবে বাজানো শুরু করেন। উনি আলাউদ্দিন লিটল অর্কেস্ট্রার সদস্য হিসেবেও অনেক বছর কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি আলাউদ্দিন লিটল অর্কেস্ট্রা এবং ঢাকা অর্কেস্ট্রাতে নিয়মিত বেহালা বাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী এবং জালাল আহমেদের সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি প্রায় চার বছর বাংলাদেশ বেতার ট্রান্সমিশন সার্ভিসে চুক্তিভিত্তিক যন্ত্রশিল্পী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১০-১১-১৯৭৯ সালে তিনি জাতীয় পারফর্মিং আর্টস একাডেমিতে বেহালা বাদক হিসেবে যোগদান করেন এবং সেখানে উত্তর কোরিয়ার প্রশিক্ষক লি উন জং এর কাছে আন্তর্জাতিক স্টাফ নোটেশনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে ১৮-০১-১৯৮৩ সালে থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-১) হিসেবে চাকরি করেছেন। মোঃ নুরুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত নানা রাস্ট্রীয় অনুষ্ঠান, সঙ্গীতানুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাট্যানুষ্ঠানে বিশেষ শ্রেণির বেহালা বাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। তিনি দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ সাফ গেমসে সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস এবং আলাউদ্দিন আলীর সহকারী হিসেবে, বেহালা বাদক হিসেবে এবং নোটেশন লেখক হিসেবে কাজ করেছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য তিনি ১৯৯০ সালের ২৪ নভেম্বর রাত ৭:৩০ থেকে ৮ টা পর্যন্ত বিবিসি আয়োজিত লাইভ কনসার্টে বেহালা বাদক হিসেবে এবং সঙ্গীত পরিচালক আজাদ রহমানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে বেশ সুনাম অর্জন করেন। ২০১০ সালে এস এ গেমসে ভারতীয় সুরকার ও গিটার বাদক রকেট মন্ডলের সাথে এবং বেহালা বাদক জনাব প্রবীর সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করেছেন। সকল মিউজিক নোটেশনের স্বরলিপি লেখা এবং লিড বেহালা বাদক হিসেবে রেকর্ডিং এ অংশগ্রহণ করেছেন। মোঃ নুরুজ্জামান "DCI ( Distressed Children International) " নামক প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন বেহালা প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে মো: নূরুজ্জামান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বেহালার প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।
কোর্স সমূহ